নবান্ন উৎসব: ইসলামিক দৃষ্টিতে ফসল কাটার শুকরিয়া

"তিনিই আল্লাহ যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা আমি সব ধরনের উদ্ভিদ উৎপন্ন করি, তা থেকে সবুজ শস্য উৎপন্ন করি" (সূরা আল-আনআম: ৯৯)
নবান্ন উৎসব কী?
নবান্ন বাংলার ঐতিহ্যবাহী কৃষি উৎসব, যেখানে নতুন ফসল কাটার পর কৃষকরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে। এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণে নবান্ন
শুকরিয়ার গুরুত্ব
কুরআনে বলা হয়েছে: "যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় কর, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব" (সূরা ইবরাহিম: ৭)। নতুন ফসল পেলে শুকরিয়া আদায় করা ঈমানের অংশ।
যাকাতের হিসাব
নতুন ফসল থেকে যাকাত প্রদান করা ফরজ। রাসূল (সা.) বলেছেন: "বৃষ্টি ও নদীর পানি দ্বারা উৎপন্ন ফসলে এক-দশমাংশ যাকাত" (বুখারী)।
নবান্ন উদযাপনের ইসলামিক পদ্ধতি
- দোয়া পড়া: নতুন ফসল দেখে এই দোয়া পড়ুন: "আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফিহি ওয়া জিদনা মিনহু" (হে আল্লাহ! এতে আমাদের জন্য বরকত দান করুন এবং আমাদের আরো দিন)
- গরিবদের অংশ দেওয়া: ফসলের কিছু অংশ গরিব-দুঃখীদের দান করুন
- সাদাকাতুল ফিতর: ফসল কাটার পর নির্দিষ্ট পরিমাণ গম/চাল দান করা
⚡ সতর্কতা
নবান্ন উদযাপনে যেন কোনো ধরনের অপচয়, অহংকার বা কুসংস্কার না থাকে। ইসলামে এগুলো নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশে নবান্ন উদযাপন
অঞ্চল | উদযাপন পদ্ধতি |
---|---|
রাজশাহী | ধান কাটার পর গরিবদের মধ্যে নতুন চাল বিতরণ |
কুষ্টিয়া | লোকগীতির মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় |
সিলেট | মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিল |
© ২০২৪ ইসলামিক বাংলা ব্লগ | আল্লাহর রহমতে প্রকাশিত
0 Comments