উত্তম জীবনসঙ্গী লাভের দোয়া ও পরামর্শ
(বাংলা উচ্চারণ দেখে দুআ পড়বেন না, কুরআন পড়তে না পারলে ভালো পারে এমন কারো থেকে সঠিক উচ্চারণ সহ শিখে নিন ইন শা আল্লাহ)

নবী মুসা (আ.)-এর দোয়া
পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহর নবী মুসা (আ.)-এর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। সেখানে মুসা (আ.)-এর একটি দোয়াও এসেছে। যে দোয়া পড়ার পর আল্লাহ তাআলা তার বিয়ে ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আশ্রয়ের পাশাপাশি উত্তম জীবনসঙ্গীনিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : রাব্বি ইন্নি লিমা- আনজালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।
অর্থ : হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি তার মুখাপেক্ষী। (সুরা আল-কাসাস, আয়াত : ২৪)
চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী লাভের দোয়া
আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের পরিচয়ে অনেক গুণাগুণের কথা কোরআনে বলা হয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হলো- তারা পুণ্যবান স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দোয়া করেন। কোরআনে বর্ণিত দোয়াটি আপনিও করতে পারেন। ইনশাআল্লাহ আপনি প্রশান্তিদায়ক স্ত্রী লাভে ধন্য হবেন।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ : রাব্বানা-হাবলানা-মিন আজওয়া-জিনা- ওয়া যুররিইয়া-তিনা, কুররাতা আ'ইউনিওঁ, ওয়াজ'আলনা-লিলমুত্তাকিনা ইমা-মা-।
অর্থ : হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান করো এবং আমাদের আল্লাহভীরুদের জন্য আদর্শস্বরূপ করো। (সুরা ফুরকান, আয়াত : ৭৪)
ইসতেগফার
যথাসম্ভব সবসময় বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। উঠতে বসতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকা। এ ইসতেগফারেগুলো পড়া:
أَسْتَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণ : 'আস্তাগফিরুল্লাহ।'
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
ইস্তেগফার এর আরো দুআ হাদীসে পাওয়া যায়। সেগুলোও বেশি বেশি করবেন ইন শা আল্লাহ।
বিয়ে নিয়ে সমস্যা - রুকাইয়াহ সার্পোট বিডির আহমেদ রবিন ভাইয়ের পরামর্শ
১. উচ্চাশার সমস্যা
ডাক্তারই লাগবে, সরকারী চাকুরীজীবীই লাগবে, পাইলটই লাগবে, ইঞ্জিনিয়ারই লাগবে- এই ধরনের উচ্চাশাতে যারা ভুগছেন তাদের জন্য পরামর্শ হল এই "ই"-কার থেকে বের হয়ে আসেন। ছেলে/মেয়ের চরিত্র দেখেন, দ্বীনদারী দেখেন, ইন শা আল্লাহ ঠকবেন না।
২. উদাসীন বাবা-মা
হয়ত আপনার বিয়ে নিয়ে আপনি চিন্তিত ঠিকই কিন্তু আপনার অভিভাবক মোটেও সচেতন না। এই ক্ষেত্রে আপনার বিয়ের প্রস্তাব আসে না-এটা বাস্তবসম্মত চিন্তা নয়। কেউ প্রস্তাব দিলে তো আর আপনার সাথে কথা বলবে না। আপনার অভিভাবকের সাথে কথা বলবে। তারা যদি ফিরিয়ে দেয় কারণ তাদের ছেলে/মেয়ের বিয়ের "বয়স"(!) হয়নি বলে তাহলে আর কিভাবে বিয়ে হবে। এসব ক্ষেত্রে মুখ ফুটে বলা উচিত বাবা-মাকে যেন তারা বিয়ের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করেন।
৩. বিবাহভীতি
বিয়ে না হবার এটাও একটা কারণ। বন্ধু-বান্ধবীদের কাছে তাদের সংসার সম্পর্কে ভয়াবহ অশান্তির কাহিনি, ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের সাংসারিক টানাপোড়নের কাহিনি, বিবাহিত বন্ধু-বান্ধবীর থেকে ফিজিক্যাল রিলেশনের বিরূপ সব কথাবার্তা, নিজের চারপাশের বিয়ে বিচ্ছেদ এবং অশান্তির বাস্তব চিত্র থেকে এর বিরূপ প্রভাবে বিবাহ ভীতি তৈরি হতে পারে। ইসলামী জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে পড়াশুনা, দ্বীনের উপর চলে এমন পাত্র/পাত্রী নির্বাচন করা এই ক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং অনেক বড় বিষয়।
৪. অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন
ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করেন না, ঘুমান না। ফোন, পিসি নিয়ে থাকেন। বাজে নেশা/কাজ করেন। শরীর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। চেহাড়ার লাবণ্য হারিয়ে গিয়েছে। আপনাকে দেখে কে পছন্দ করবে? কাজেই নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন। ইন শা আল্লাহ বিয়েতে দেরি হবে না।

@Hope - সকল পরামর্শ আল্লাহর রহমতের উপর ভিত্তি করে
0 Comments