হিজাবের প্রকৃত তাৎপর্য: বাহ্যিকতা নাকি আন্তরিকতা?
হিজাবী: দাদু! অনেক দিন ধরে একটা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে!
দাদু: তোর মাথায় একটা চিন্তা কেন, হাজার হাজার চিন্তাই তো সারাক্ষণ কিলবিল করতে দেখি!
হিজাবী: না দুষ্টুমি নয়, সত্যি সত্যি বলছি!
দাদু: তা শুনি তো সেই যুগান্তকারী চিন্তা!
দুই ধরনের মেয়ের গল্প
প্রথম মেয়ে: হিজাব পরে। হাতমোজা পা-মোজাও পরে। কিন্তু সবই বাইরে বাইরে! ভেতরে ভেতরে হেন অপকর্ম নেই সে করে না। প্রেম করা থেকে শুরু করে সবকিছু! নামায-কালামেরও ধারধারে না।
দ্বিতীয় মেয়ে: খুবই সুন্দরী। হিজাব পরে না। কিন্তু অত্যন্ত শালীন তার চলাফেরা। ভদ্র-মার্জিত। কারো সাথে কোনও সম্পর্ক নেই। নামায-কালামও যথাসাধ্য করার চেষ্টা করে!
যে হিজাব মনের তাকওয়া থেকে উৎসারিত নয়, সেটা স্থায়িত্ব বেশিদিনের জন্যে নয়। এই হিজাব স্বার্থপ্রসূত। লোকদেখানো। পারিবারিক চাপের কারনে।
আর যে মেয়ে মনে মনে তাকওয়ার অধিকারী অথচ হিজাব পরে না, সে হলো 'শরবতের গ্লাসের তলায় জমে থাকা অতিরিক্তি চিনির মতো। চিনিগুলো দেখা যায়, কিন্তু শরবতকে মিষ্টি করার পেছনে তার কোনও ভূমিকা নেই।
কে বেশি ভাল?
প্রথমজন হিজাব পরার সওয়াব পাবে। তাকে দেখে অন্য কেউ গুনাহে লিপ্ত হবে না। তার রূপের মোহে পড়ে কোনও মূঢ় যুবক আকাস-কুসুম কল্পনা করবে না।
দ্বিতীয় মেয়েটা নিজে নিজে ভাল। সেটা প্রশংসনীয়। সওয়াব পাবে। কিন্তু উদ্ভিন্ন যৌবনের মোহে পড়ে রাস্তার অসংখ্য যুবক-বৃদ্ধ গুনাহের চিন্তায় বিভোর হচ্ছে, তার দায়ভার তো তাকে নিতেই হবে।
0 Comments