ভারত বনাম পাকিস্তান — দুই দেশের মধ্যকার সামরিক শক্তির তুলনা
দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক শক্তির তুলনা একটি চিরন্তন আগ্রহের বিষয়। এই ব্লগ পোস্টে আমরা দুই দেশের সামরিক শক্তির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করব এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করব।
সামরিক বাজেট ও অর্থনৈতিক শক্তি
মাপকাঠি | ভারত | পাকিস্তান |
---|---|---|
সামরিক বাজেট (২০২৩) | ~৭২.৬ বিলিয়ন ডলার | ~১০.৩ বিলিয়ন ডলার |
জিডিপি (২০২৩) | ~৩.৭ ট্রিলিয়ন ডলার | ~৩৪৮ বিলিয়ন ডলার |
সামরিক বাজেটে জিডিপির % | ~২.১% | ~৩.৫% |
উপরের তথ্য থেকে স্পষ্ট যে ভারতের সামরিক বাজেট পাকিস্তানের তুলনায় প্রায় ৭ গুণ বেশি। তবে পাকিস্তান জিডিপির বেশি শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে।
সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা
সেনাবাহিনী | ভারত | পাকিস্তান |
---|---|---|
সক্রিয় সৈন্য | ~১৪ লক্ষ | ~৬.৫ লক্ষ |
সংরক্ষিত সৈন্য | ~১১ লক্ষ | ~৫.৫ লক্ষ |
প্যারামিলিটারি বাহিনী | ~২০ লক্ষ | ~৫ লক্ষ |
বিমান শক্তি
বিমান বাহিনী | ভারত | পাকিস্তান |
---|---|---|
যুদ্ধবিমান | ~৫৬০ | ~৩৫০ |
৫ম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান | রাফাল (৩৬), সু-৩০ এমকিআই (২৬০+) | জেএফ-১৭ থান্ডার (১৪০+) |
বিমানবাহী রণতরী | ২টি (আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্ত) | 없음 |
নৌ শক্তি
নৌবাহিনী | ভারত | পাকিস্তান |
---|---|---|
ডেস্ট্রয়ার | ১১ | ০ |
ফ্রিগেট | ১৪ | ১০ |
সাবমেরিন (ডিজেল-ইলেকট্রিক) | ১৬ | ৮ |
সাবমেরিন (নিউক্লিয়ার) | ২ (আরিয়ান্ট শ্রেণি) | ০ |
মিসাইল ও নিউক্লিয়ার শক্তি
মিসাইল ক্ষমতা | ভারত | পাকিস্তান |
---|---|---|
নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড | ~১৬০ | ~১৬৫ |
ব্যালিস্টিক মিসাইল রেঞ্জ | আগ্নি-৫ (৫,০০০+ কিমি) | শাহিন-৩ (২,৭৫০ কিমি) |
ক্রুজ মিসাইল | ব্রহ্মস (২৯০-৫০০ কিমি) | বাবুর (৭০০ কিমি) |
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন
ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) এবং পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স (NDC) উভয়ই দেশীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছে।
- ভারত: তেজস যুদ্ধবিমান, অর্জুন ট্যাংক, আকাশ মিসাইল সিস্টেম, বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক ক্ষমতা
- পাকিস্তান: জেএফ-১৭ থান্ডার (চীনের সহযোগিতায়), আল-খালিদ ট্যাংক, শাহিন মিসাইল সিরিজ
উপসংহার
সামগ্রিকভাবে, ভারতের সামরিক শক্তি পাকিস্তানের তুলনায় সংখ্যা ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে। তবে পাকিস্তান কৌশলগত পারমাণবিক শক্তি এবং কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে (যেমন ট্যাকটিক্যাল মিসাইল) ভারসম্য বজায় রেখেছে। দুই দেশের মধ্যকার শক্তি সমীকরণ আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও কূটনীতিকে প্রভাবিত করে চলেছে।
এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে সামরিক শক্তি কেবল সংখ্যার খেলা নয় - প্রশিক্ষণ, কৌশল, নৈতিকতা এবং আন্তর্জাতিক মিত্রতা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স ২০২৩, এসআইপিআরই মিলিটারি এক্সপেন্ডিচার ডাটাবেস, বিভিন্ন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
0 Comments